পিরোজপুর জেলার অন্যতম ছোট উপজেলা বা থানা কাউখালী। ১৭৯০ সালে গভর্নর লর্ড কর্নওয়ালিশ ভারত শাসন সংস্কার আইনের মাধ্যমে প্রশাসনিক পরিবর্তন সাধন করেন। ফলতঃ বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ জেলার জন্য ১০টি থানা স্থাপনের অনুমোদন প্রদান করা হয়। এর ৩টি থানা পিরোজপুর অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ করা হয়। ১৭৯০ সালে কাউখালীতে থানা স্থাপিত হয়। সেখানে পরে থানা ছাড়াও আবগারী অফিস, মুন্সেফাদালত, বাসরেজিস্ট্রারি অফিসসহ লবণ চৌকি স্থাপিত হয়।
১৮৫৯ সালে পিরোজপুর মহকুমা স্থাপিত হয়। সঙ্গতঃ কারণে কাউখালী হতে সঙ্গে সঙ্গে অফিস আদালত স্থানান্তরিত করা সম্ভব না হলে ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত পিরোজপুরের নামে কাউখালীতে অফিস-আদালত পরিচালিত হোত আদিতে থানাগুলো নদীতীরে ভাসমান জলথানা হিসেবে কার্য সম্পাদন করত। ১৯০৯ সালের ৩১ মার্চ কাউখালী থানা নদীর তীরের অস্থানস্থল হতে বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়।
তদানীন্তন সেলিমাবাদ পরগনা ছিল লবণ ব্যবসায়ের প্রাণকেন্দ্র্। বৃহৎ লবণ শিল্প ছিল সেলিমাবাদে। সেলিমাবাদের লবণ মহলের ব্যাপক উৎপাদনশীল এলাকা ছিল কাউখালীতে।
আমরাজুরীর দত্ত পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা নেমক মহলের দারোগা ছিল। ১৭৮৩ সালের ২৫ জুন তারিখে লন্ডনের কমন্স সভার লবন রিপোর্টে দেখা যায়, রাশিয়ার অন্তর্গত আর্মেনিয়ার অধিবাসী জনৈক খাজা কাওয়ার্ক নামের এক ব্যবসায়ী ১৭৭৩ সালেসেলিমাবাদের লবণ শিল্পের মালিক ছিলেন। ১৭৭৪ সালে ঢাকার চিফ বারওয়েল লবণ ব্যবসা নিজ হসস্ত গ্রহণ করেন। তিনি পরে খাজা কাওয়ার্ককে মূল্যবান উপহার বিনিময়ে লবণ ব্যবসার জন্য গোপনে অনুমতি প্রদান করেন। যার জন্য বারওয়েল দারুনভাবে সমালোচিত এবং নিন্দিত হন। স্থানীয় লোকজন খাজা কাওয়ার্ককে কাও সাহেব বলে ডাকত। ফলতঃ কাও সাহেব নামের প্রচার এবং প্রসার থেকে কাওখালী, যা কালক্রমে পরিবর্তিত হয়ে কাউখালী হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস